বিএনপি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ১ম পর্ব
লিখেছেন
আফগানী
২০২২-০৯-০১ ১৪:০০:০৭
আজ ১ সেপ্টেম্বর। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে এই দলটির জন্ম হয়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান। বিএনপি প্রতিষ্ঠার সূত্রপাত ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে সংঘটিত পাল্টাপাল্টি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে।
২ থেকে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কুয়াশাচ্ছন এবং ঘোলাটে অধ্যায়। অনেকে এটাকে বলেন “কলঙ্কিত অধ্যায়’ কিংবা “মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ আবার অনেকেই বলেন ‘জাতীয় সংহতি এবং বিপ্লব দিবস’।
...বাকিটুকু পড়ুন
সৌদির এক ধনকুবের জীবনের গল্প...
লিখেছেন
কহেন কবি
২০২২-০৯-০১ ১১:৪০:৩০
আমি ছিলাম নিতান্ত অসহায় গরিব। এতোটাই গরিব ছিলাম যে, একবার মাদ্রাসা থেকে একটি শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করা হল। ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি মাত্র একরিয়াল করে ধার্য করা হয়েছিল। আমার কাছে অর্ধ রিয়ালও ছিল না। পরিবারের কাছে গিয়ে খুব কান্নাকাটি করলাম। কিন্তু পরিবার থেকেও এক রিয়ালের ব্যবস্থা হলো না। কারণ, পরিবার তখন ছিল নিঃস্ব রিক্ত।
শিক্ষা সফরের একদিন পূর্বে একজন দয়াদ্র ফিলিস্তীনী উস্তায আমাকে একটি রিয়াল দিলেন। আমি তো পরমানন্দে শিক্ষা সফরে শরিক হয়ে গেলাম। ঐ রিয়ালটা পাবার পর থেকে নিয়ে প্রায় দুমা...বাকিটুকু পড়ুন
ইসলামী সমাজ বিপ্লবের ধারা
লিখেছেন
আফগানী
২০২২-০৮-৩১ ১৪:৫৭:০৬
সাইয়েদ কুতুব রহ.। জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে তিনি ছিলেন কারাগারে। ১৯৬৪ সালে তার একটি বই প্রকাশিত হয়। বইটির নাম ছিল معالم فى الطريق (মা'আলিম ফিত তারিক্ব)। এই কথাটার অর্থ হতে পারে পথনির্দেশক। সাইয়েদ কুতুব এখানে মূলত আমাদের করণীয় কী হবে তা উল্লেখ করেছেন। তাঁর এই বইটি ছিল মুসলিমদের করণীয় বিষয়ক গাইড বুক।
সেই সময় মিশরের জালিম, তাগুত ও স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান ছিল জামাল আব্দুন নাসের। সে তার সরকারের জন্য এই বইটিকে হুমকি হিসেবে দেখেছে। উনিশ শ’পয়ষট্টি সালে কর্নেল নাসের মস...বাকিটুকু পড়ুন
গুমের রাজ্যে প্রিয় স্বদেশ
লিখেছেন
আফগানী
২০২২-০৮-৩০ ১০:৫৮:৩৫
আজ গুম প্রতিরোধ দিবস। বাংলাদেশে নাগরিকদের গুম করে ফেলার এক নিষ্ঠুর সংস্কৃতি চালু হয়েছে গত ১৩ বছরে। গুমের এই বিভীষিকা বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে। গত ১৩ বছরে ৬৭৯ জন মানুষ বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা যায় ২০০৯ সালে ৩ জন, ২০১০ সালে ১৮ জন, ২০১১ সালে ৩১ জন, ২০১২ সালে ২৬ জন, ২০১৩ সালে ৫৪ জন, ২০১৪ সালে ৮৮ জন, ২০১৫ সালে ৬৬ জন, ২০১৬ সালে ৯৭ জন, ২০১৭ সালে ৮৬ জন, ২০১৮ সালে ১২২ জন,...বাকিটুকু পড়ুন
শো অফ বনাম বাস্তবতা
লিখেছেন
শিশির আসাদ
২০২২-০৮-২৯ ১৯:০৭:২২
আমি একবার মিরপুরের ভাড়া বাসা থেকে রিক্সায় একখানে যাচ্ছি । রিক্সাওয়ালা আমার মতই যুবক অনেক পরিপাটি আর কথা বার্তায় শিক্ষিতের ভাব। স্বভাবসুলভ তার সাথে কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে তাকে জিজ্ঞাস করলাম "ভাই আপনি কি লেখাপড়া করেন?"উনি বললেন করি ভাই। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় ভাই?
উনি বলল,আরে আছি ভাই কোথাও। ভাবলাম মনে হয় অখ্যাত কোনো ইনস্টিটিউটে পড়ে,বলার মত না।দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাস করে আর লজ্জা না দেই। আমি আমার গন্তব্যে পৌছে তাকে ভাড়া দিয়ে বিদায়ের সময় হাত মিলাতে মিলাতে বললাম ভাই কিসে পড়েন?
রিক্সাওয়ালা...বাকিটুকু পড়ুন
অনুপ্রেরণা
লিখেছেন
শিশির আসাদ
২০২২-০৮-২৯ ১৬:৪৩:১৬
ছাত্র হিসেবে আমি কখনোই ভালো ছিলাম না। ক্লাস সিক্সের ১ম সাময়িক পরীক্ষায় সাধারণ বিজ্ঞানে ৭০ তে ১৮ পাইলাম, আমার এখনো মনে আছে, আব্বা সেদিন পিটানোটা শুধু বাদ রাখছিলো!
২য় সাময়িক পরীক্ষায় আমি ৭০ তে ৩৫ পাইলাম।সেবারও দারুন গালি খেয়ে শপথ নিলাম, বার্ষিক পরীক্ষাতেই দেখায় দিবো আমি কি জিনিস!
সিনেমাতে দেখা যায় নায়ক একদম ফাইনালে গিয়ে জিতে বাড়ি ফিরে। আমি তো আর নায়ক না তাই বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে ৭০ তে ২৫ পাইলাম।গালির ডোজ চলতেই থাকলো!
জেএসসি তে কপালে জিপিএ ৪.৪৩ জুটলো...বাকিটুকু পড়ুন
একনজরে সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ
লিখেছেন
আফগানী
২০২২-০৮-২৯ ১৫:৩৮:৫৪
অনেকে আগের কথা। হাইস্কুলে উঠেছি মাত্র। তখন বাবার লাইব্রেরীতে পেয়েছিলাম একটি বই 'কারাগারে রাতদিন'। জয়নব আল গাজালীর সেই বই পড়ে কিশোর মনে হাহাকার শুরু হয়েছে। সেই বইতে পরিচিত হয়েছি সাইয়্যেদ কুতুব শহীদের সাথে। এরপর ফি যিলালিল কুরআন পড়ে তো আরো মুগ্ধ হলাম। সেই থেকে ভালোবাসা শুরু এই মহান মানুষের সাথে। ১৯৬৬ সালের ২৯ আগস্ট সুবহে সাদিকের সময় এই মহান মানুষ শাহদাতবরণ করেন। চলে যান প্রিয় রবের সান্নিধ্যে। ফাঁসীর সংবাদে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এভাবে
"আমি আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় হাজির...বাকিটুকু পড়ুন
বিহারের শেখ আমিনুদ্দিন ভাই
লিখেছেন
আফগানী
২০২২-০৮-২৬ ১৫:১২:৩৫
ঢাকায় জামায়াতের কাজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না এই খবর পৌঁছে গেছে বিহারের ছোট নাগপুরের রুকন শেখ আমিনুদ্দিনের কাছে। ১৯৪৭ সালে বিহার থেকে হিজরত করে পশ্চিম পাকিস্তানে গেছেন। কিন্তু তার মন পড়ে আছে বাংলায়। কারণ ঢাকায় জামায়াতের কাজ করার লোক তৈরি হচ্ছে না।
শেখ আমিনুদ্দিন দাওয়াতী কাজ করার জন্য ঢাকায় চলে এলেন। তিনি দাওয়াতী কাজ করতে পছন্দ করেন। ঢাকার অলি গলিতে হাঁটেন আর পুরান ঢাকার মানুষের সাথে উর্দুতে কথা বলেন, পরিচিত হন। এভাবে নবাবপুরে তিনি বেশ পরিচিতি লাভ করেন।
ত...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলায় জামায়াতের প্রচার যেভাবে হয়!
লিখেছেন
আফগানী
২০২২-০৮-২৫ ১৯:২০:৪৯
১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট ৭৫ জন নিয়ে জামায়াত যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন একজনমাত্র বাঙালি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর নাম মাওলানা আতাউল্লাহ বুখারী। তিনি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা ছিলেন। মাওলানা ৭৫ জনের মধ্যে ১৬ জনকে নিয়ে মজলিসে শুরা গঠন করেছিলেন সেই মজলিশে শুরাতেও ছিলেন মাওলানা আতাউল্লাহ বুখারী। সেই হিসেবে ১ম বাঙালি রুকন ও ১ম বাঙালি শুরা সদস্য ছিলেন তিনি। তবে তিনি দুই বছরের মধ্যে জামায়াত ত্যাগ করেন।
১৯৪৬ সালে জামায়াতের সম্মেলনে যোগ দেন মাওলানা আব্দুর রহীম। তিনি...বাকিটুকু পড়ুন
দুনিয়ার চাপ মোকাবেলায় যে একটি কাজ করতে পারেন...
লিখেছেন
কহেন কবি
২০২২-০৮-২৫ ১০:৫৯:২৭
রাসূলুল্লাহ (স) বলেন- مَنْ جَعَلَ الْهُمُومَ هَمًّا وَاحِدًا هَمَّ آخِرَتِهِ كَفَاهُ اللَّهُ هَمَّ دُنْيَاهُ وَمَنْ تَشَعَّبَتْ بِهِ الْهُمُومُ فِي أَحْوَالِ الدُّنْيَا لَمْ يُبَالِ اللَّهُ فِي أَىِّ أَوْدِيَتِهَا هَلَكَ - "যে ব্যক্তি তার সমস্ত চিন্তাকে একটি চিন্তায় কেন্দ্রীভূত করেছে, অর্থাৎ আখিরাতের চিন্তায়, আল্লাহ তার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট। অপর দিকে যে ব্যক্তি যাবতীয় পার্থিব চিন্তায় নিমগ্ন থাকবে, সে যেকোনো উন্মুক্ত মাঠে ধ্বংস হোক, তাতে আল্লাহ্র কিছু যায় আসে না।" (সুনান ইব...বাকিটুকু পড়ুন